শিরোনাম:

মে দিবসে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তারেক রহমান

মে দিবসে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তারেক রহমান

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে  বক্তব্য দেন। ‘করিডর’ নিয়ে তারেক রহমান বলেন ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া – নাদেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।

 

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরো বলেন,  দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করা

 

দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান।

 

 

 

 

সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। গণমাধ্যমের খবর কিংবা টেলিভিশনের টক শো—সবখানেই সংস্কার নিয়ে আলোচনা। কিন্তু সংস্কারের এত কর্মযজ্ঞের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর কোথায়। কৃষক–শ্রমিকেরা গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাঁরা কোথায় কার কাছে কীভাবে তাঁদের সমস্যা–সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরবেন। কে তাঁদের প্রতিনিধি?

 

 

 

তারেক রহমান বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ–দুর্দশা, সমস্যা–সম্ভাবনার কথা যাতে রাষ্ট্র এবং সরকারের কানে পৌঁছায়, সে জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। বর্তমানে বিএনপি সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে সংলাপ করছে। পাশাপাশি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করছে।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য যেমন সংস্কার প্রয়োজন, তেমনি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন। সুনির্দিষ্টভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও পথনকশা সুস্পষ্ট থাকলে জনমনে সন্দেহ–সংশয় কেটে যাবে।

 

 

 

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সঞ্চালক ছিলেন শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম।

ঈদে টেলিভিশন গুলোতে ধারাবাহিক নাটক

মে দিবসে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তারেক রহমান

ঈদের দিন থেকে সাতদিনব্যাপি টেলিভিশনগুলোতে ধারাবাহিক নাটক প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা কিছু ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য এইখানে . .

চ্যানেল আই

ছোটকাকু রহস্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে । ফরিদুর রেজা সাগরের ছোটকাকু উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন আফজাল হোসেন, পরিচালনায় অনিমেষ আইচ। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, আশনা হাবিব ভাবনা, অর্ষা, সীমান্ত প্রমুখ।

বাংলাভিশন

কুস্তি বয়েজ দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে । রচনা ও পরিচালনা মাইদুল রাকিব। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষী আলম, হাসান মাসুদ প্রমুখ।

চার কুতুব রিটার্নস দেখা যাবে প্রতিদিন রাত ৮টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা সাগর জাহান। অভিনয়ে চাষী আলম, পাভেল, আ খ ম হাসান, মুসাফির বাচ্চু, শানীনা নাজমীন, মাইমুনা মম প্রমুখ।বাংলাভিশনের ‘কুস্তি বয়েজ’ ধারাবাহিকের পোস্টার।

বৈশাখী

জার্নি টু লন্ডন দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। চিত্রনাট্য ইউসুফ আলী খোকন, পরিচালনা আল হাজেন। অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত, অহনা, শফিউল আলম বাবু, শফিক খান দিলু, আমিন আজাদ প্রমুখ।

উভয় সংকট (প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিট): রচনা জাকির হোসেন উজ্জল, পরিচালনায় ফরিদুল হাসান। অভিনয়ে মীর সাব্বির, মৌসুমী হামিদ, ফারুক আহমেদ, রেশমা আহমেদ প্রমুখ।

এনটিভি

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা মোহন আহমেদ। অভিনয়ে পাভেল, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া প্রমুখ।

আরটিভি

মুশকিল আসান কোম্পানি (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা মশিউর রহমান, পরিচালনা সহিদ উন নবী। অভিনয়ে শামীম হাসান সরকার, চাষী আলম, অনিক, আনিকা কবীর শখ প্রমুখ।

কনটেন্ট অব দ্য ইয়ার (প্রতিদিন রাত ১১টা): রচনা পাপ্পু রাজ, পরিচালনা মেহেদী রনি। অভিনয়ে যাহের আলভী, মুসাফির সৈয়দ, তানজিম হাসান অনিক, তিথি প্রমুখ।

দীপ্ত টিভি

ওই পাড়া থেকে সাবধান (প্রতিদিন রাত ৯টা ৪০ মিনিট): পরিচালনা শামীম জামান। অভিনয়ে শামীম জামান, ইশানা, আ খ ম হাসান, আল মনসুর, চিত্রলেখা গুহ, আহসানুল হক মিনু, স্বাগতা, প্রাণ রায় প্রমুখ।

মাছরাঙা

থ্রি ইডিয়টস (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা অনামিকা মণ্ডল, ইমরান হাওলাদার। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষি আলম, সালহা নাদিয়া প্রমুখ।

শ্বশুরের বিয়ে (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট): রচনা আল আমিন স্বপন, পরিচালনা তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে শরাফ আহমেদ জীবন, নাদিয়া মীম, আশরাফ সুপ্ত, মিহি আহসান প্রমুখ।

তারেক রহমান দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন

মে দিবসে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তারেক রহমান

 

বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমান বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ’ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্ববাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা।

 

তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উ”ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ই”ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি না হয়।

তিনি বলেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হ”েছ কুরবানী। পশু কুরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে শুভে”ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে ।

 

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমে যে কোন দিন

মে দিবসে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তারেক রহমান

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

 

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।

 

এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।

তিনি বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব।

 

তিনি আরও বলেন, এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।

 

তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় থাকুক।

×