শিরোনাম:

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে চলছে দুই দিনব্যাপী ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ শীর্ষক প্রদর্শনী। আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজে গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা বিদেশি ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরা এবং বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ছাড়াও বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরাই বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপের মূল উদ্দেশ্য। আমস্টারডামে দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)।

এবারের আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে পিডিএস লিমিটেড, সিটি ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ ও কেডিএস গ্রুপ। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (বিডা) এই সম্মেলন ও প্রদর্শনী আয়োজনে সহায়তা করছে।

বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজে
বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজেছবি: বিএইর সৌজন্যে

প্রদর্শনীতে ৩২টি স্টলে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র; চামড়া; পাট ও হস্তশিল্প; তথ্যপ্রযুক্তি; কৃষিখাদ্য; পোলট্রি ও বীজের আটটি প্রধান খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। বিএইর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বেস্ট অব বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী)। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের সাউথ এশিয়া বিভাগের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মহাপরিচালক পাসকালে গ্রোটেনহুইস, নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ, পিডিএস লিমিটেডের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান পল্লাক সেথ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজ উদ্দিন।

বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবকিছু নিখুঁত নয়, তবে অনেক ইতিবাচক দিকও রয়েছে। আমরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।’

ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের সাউথ এশিয়া বিভাগের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। বাংলাদেশের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই রয়েছে—যেমন দক্ষ জনশক্তি, তরুণ জনগোষ্ঠী, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি, উদ্ভাবন, উন্নত অবকাঠামো, ডিজিটালাইজেশন এবং বঙ্গোপসাগরের পাশে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান। ইইউ বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মহাপরিচালক পাসকালে গ্রোটেনহুইস বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পেরে নেদারল্যান্ডস গর্বিত। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কঠোর পরিশ্রম, উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীলতা ও ন্যায্য মজুরির নিশ্চিতের মাধ্যমে ভবিষ্যতের একটি আদর্শ ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করেছে। ডাচ্‌ কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে কাজ করার ব্যাপারে বিপুল আগ্রহ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা একসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে পারি।’

বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজ উদ্দিন। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজে
বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজ উদ্দিন। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজেছবি: বিএইর সৌজন্যে

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ আয়োজন বিদেশি বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও স্টেকহোল্ডারদের সামনে আমাদের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী পণ্য তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’

উদ্বোধনের পর উদ্বোধনের পরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন একটি উপস্থাপনা দেন। এ ছাড়াও তিনটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। ‘বাংলাদেশ: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ’ এবং ‘বাংলাদেশ: ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক সোর্সিং হাব’ শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনা হয়েছে।

 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন। গতকাল আমস্টারডাম বেয়ার্স ভ্যান বারলেজেছবি: বিইএর সৌজন্যে

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে—আউস বাংলা জুটেক্স, অ্যাগ্রোনোচেইন, ব্রেইন স্টেশন ২৩, বিআইজেআইটি গ্রুপ, বন্ডস্টেইন টেকনোলজিস লিমিটেড, কান্ট্রি অ্যাগ্রো, সেন্ট্রোটেক্স, ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস, ডেলমাস অ্যাপারেলস, নিট এশিয়া, কেডিএস গ্রুপ, লাল তীর সিড, লেদারিনা, ম্যাপড ইন বাংলাদেশ, মেরিডিয়ান ফুডস, নয়েজ জিনস, নারিশ ফিডস লিমিটেড, পিডিএস লিমিটেড, পিডিএস ভেঞ্চার, গুড আর্থ, স্মারটেক্স, প্যাসিফিক নিট ডিভিশন, প্যাডকস জিন্স, পলকা ফ্লেক্স, প্রাণ ফুডস, প্যারাগন গ্রুপ, রাইজিং গ্রুপ, রিভার্স রিসোর্সেস, রুহরোস আরবিটি, সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলস লিমিটেড (সাইক্লো), শিন শিন অ্যাপারেলস লিমিটেড, তারাঙ্গো, তুর্জো টেক্স লিমিটেড, টিম গ্রুপ ও ঝেজিয়াং ওয়েইশিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি।

ঈদে টেলিভিশন গুলোতে ধারাবাহিক নাটক

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

ঈদের দিন থেকে সাতদিনব্যাপি টেলিভিশনগুলোতে ধারাবাহিক নাটক প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা কিছু ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য এইখানে . .

চ্যানেল আই

ছোটকাকু রহস্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে । ফরিদুর রেজা সাগরের ছোটকাকু উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন আফজাল হোসেন, পরিচালনায় অনিমেষ আইচ। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, আশনা হাবিব ভাবনা, অর্ষা, সীমান্ত প্রমুখ।

বাংলাভিশন

কুস্তি বয়েজ দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে । রচনা ও পরিচালনা মাইদুল রাকিব। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষী আলম, হাসান মাসুদ প্রমুখ।

চার কুতুব রিটার্নস দেখা যাবে প্রতিদিন রাত ৮টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা সাগর জাহান। অভিনয়ে চাষী আলম, পাভেল, আ খ ম হাসান, মুসাফির বাচ্চু, শানীনা নাজমীন, মাইমুনা মম প্রমুখ।বাংলাভিশনের ‘কুস্তি বয়েজ’ ধারাবাহিকের পোস্টার।

বৈশাখী

জার্নি টু লন্ডন দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। চিত্রনাট্য ইউসুফ আলী খোকন, পরিচালনা আল হাজেন। অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত, অহনা, শফিউল আলম বাবু, শফিক খান দিলু, আমিন আজাদ প্রমুখ।

উভয় সংকট (প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিট): রচনা জাকির হোসেন উজ্জল, পরিচালনায় ফরিদুল হাসান। অভিনয়ে মীর সাব্বির, মৌসুমী হামিদ, ফারুক আহমেদ, রেশমা আহমেদ প্রমুখ।

এনটিভি

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা মোহন আহমেদ। অভিনয়ে পাভেল, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া প্রমুখ।

আরটিভি

মুশকিল আসান কোম্পানি (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা মশিউর রহমান, পরিচালনা সহিদ উন নবী। অভিনয়ে শামীম হাসান সরকার, চাষী আলম, অনিক, আনিকা কবীর শখ প্রমুখ।

কনটেন্ট অব দ্য ইয়ার (প্রতিদিন রাত ১১টা): রচনা পাপ্পু রাজ, পরিচালনা মেহেদী রনি। অভিনয়ে যাহের আলভী, মুসাফির সৈয়দ, তানজিম হাসান অনিক, তিথি প্রমুখ।

দীপ্ত টিভি

ওই পাড়া থেকে সাবধান (প্রতিদিন রাত ৯টা ৪০ মিনিট): পরিচালনা শামীম জামান। অভিনয়ে শামীম জামান, ইশানা, আ খ ম হাসান, আল মনসুর, চিত্রলেখা গুহ, আহসানুল হক মিনু, স্বাগতা, প্রাণ রায় প্রমুখ।

মাছরাঙা

থ্রি ইডিয়টস (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা অনামিকা মণ্ডল, ইমরান হাওলাদার। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষি আলম, সালহা নাদিয়া প্রমুখ।

শ্বশুরের বিয়ে (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট): রচনা আল আমিন স্বপন, পরিচালনা তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে শরাফ আহমেদ জীবন, নাদিয়া মীম, আশরাফ সুপ্ত, মিহি আহসান প্রমুখ।

তারেক রহমান দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

 

বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমান বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ’ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্ববাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা।

 

তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উ”ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ই”ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি না হয়।

তিনি বলেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হ”েছ কুরবানী। পশু কুরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে শুভে”ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে ।

 

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমে যে কোন দিন

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

 

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।

 

এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।

তিনি বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব।

 

তিনি আরও বলেন, এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।

 

তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় থাকুক।

×