
না ফেরার দেশে চলে গেলেন সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদনাকারী মজিবুর রহমান দিলু। চলচ্চিত্র ‘নয়ন মনি’ ‘সুজন সখী’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘অভাগী’, ‘নাত বৌ’, ‘প্রান সজনি’, ‘ভাত দে’, ‘তিন কন্যা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘সত্যমিথ্যা’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘বাংলার বধু’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘৭১ এর মা জননী’ সম্পাদনার কাজ করে মজিবুর রহমান দুলু নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু আজ
(৩১ মে) ঢাকাস্থ গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের নগর কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন।
মেধা ও মননে উচ্চতর মাত্রায় বিচরণকারী, ধীশক্তি সম্পন্ন এই মানুষটি পারিবারিক নিগ্রহের শিকার হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উল্লেখ করেছেন প্রতিবেশীরাই তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (উইকিপিডিয়ায় ১৩ ডিসেম্বর উল্লেখিত রয়েছে) ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন মুজিবুর রহমান দুলু। ছোটবেলায় পোলিও রোগে আক্রান্ত হবার ফলে তার দুই পায়েই সমস্যা দেখা দেয়, যা সারেনি। তরুণ বয়সেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সম্পাদক এনামুল হকের সহকারী হয়ে চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হন।
মুজিবুর রহমান দুলু সম্পাদিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নয়ন মনি’। “সুজন সখী”, “মিন্টু আমার নাম”, “অভাগী”, “নাত বৌ”, “প্রান সজনি”, “ভাত দে”, “তিন কন্যা”, “ভেজা চোখ”, “সত্যমিথ্যা’, “পিতা মাতা সন্তান”, “বাংলার বধু”, “মেঘলা আকাশ”, “নাগর দোলা”, “হাজার বছর ধরে”, “৭১ এর মা জননী” এমন সব ছবি সহ প্রায় তিনশত ছবি সম্পাদনা করেছেন তিনি।
