
শপথ নেয়ার বিপক্ষে আদালতে রিট আবেদন খারিজ পরিপেক্ষিতে ইশরাক হোসেন বলেন, আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে। আজ আমাদের যে বিজয়, তার শতভাগ কৃতিত্ব বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী এবং ঢাকাবাসীর।
আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট জনভোগান্তির জন্য ক্ষমা চেয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের এই সব কর্মসূচির কারণে যে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য আমরা জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বিশ্বাস করি জনগণ একদিন বুঝবে, আমরা কেন এ আন্দোলন করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন,আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমরা সরকারকে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবো। এর মধ্যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে আমরা আবারও মাঠে নামবো।
বৃহস্পতিবার ( ২২ মে ) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলন স্থলে এসে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, গতকাল ( বুধবার ) বর্তমান সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের যে দাবি জানিয়েছি, সেই দাবিতে আমরা অনড় থাকবো। আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হলো। অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা না হলে আবারও যমুনা ঘেরাও করবো।
উল্লেখ্য যে গত ২০২০ সালে সাবেক মেয়র তাপসের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইশরাক হোসেন । সেখানে তাপসকে নির্বাচনে জয়ী হলেও ইশরাক হোসেন মামলা করেন তাকে অনৈতিকভাবে নির্বাচনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে । শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই মামলা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ইশরাক । আদালত থেকে তার পক্ষে রায় আসলে তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নিতে চান। তবে এর মাঝেও আরেকজন তার শপথ নেয়ার বিপক্ষে আদালতে রিট করে। এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইশরাকের সমর্থকরা। টানা ৮ দিন আন্দোলন করেন তার সমর্থকরা। এর মধ্যেই মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। রিটটি খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন আদালত । ফলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।