শিরোনাম:

ঈদ উপলক্ষে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম : কে এগিয়ে আইস্ক্রিন, হৈচৈ, দীপ্ত প্লে, চরকি না বঙ্গ !!

ঈদ উপলক্ষে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম : কে এগিয়ে আইস্ক্রিন, হৈচৈ, দীপ্ত প্লে, চরকি না বঙ্গ  !!

 

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোর পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলোও নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে দুটি নতুন সিরিজ ও তিনটি নতুন সিনেমা। গল্পের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি এসব কনটেন্টে দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সব তারকারা।

আইস্ক্রিনে দেখবেন দুই সিনেমা, এক সিরিজ
ঈদ উপলক্ষে আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে দুটি সিনেমা ও একটি সিরিজ। এগুলো হলো রিয়াদ মাহমুদের সিনেমা ‘পার্টি, তৌফিক এলাহির সিনেমা ‘নীলপদ্ম’ এবং শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’।


ওয়েব ফিল্ম পার্টি : ডার্ক কমেডি থ্রিলার ঘরানায় নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম পার্টি। খালি বাসায় পার্টি করতে গিয়ে বিপদে পড়া কয়েকর বন্ধুর গল্প পার্টি। পার্টিতে অভিনয় করেছেন : জুনায়েদ বোগদাদী, লামীমা লাম, শরীফ সিরাজ সহ একঝাক তারকাশিল্পী। ১ জুন মুক্তি পেয়েছে সিরিজটি।

নীলপদ্ম : দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নীলপদ্ম’। এতে নীলা নামের যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। আরও আছেন রাশেদ মামুন অপু, একে আজাদ সেতু, শাহেদ আলী প্রমুখ। চলতি বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত সিনেমাটি এবার দেখা যাবে ঘরে বসে। ঈদের দিন থেকে দেখা যাবে নীলপদ্ম।


ওয়েব সিরিজ পাপ কাহিনী : অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম, বিশ্বাস ও প্রতিশোধের গল্প দেখা যাবে তিন পর্বের ওয়েব সিরিজ পাপ কাহিনীতে। অভিনয়ে শাহরিয়ার নাজিম জয়, রুনা খান, মৌসুমী মৌ, তানজিয়া জামান মিথিলা প্রমুখ। ঈদের তৃতীয় দিন থেকে দেখা যাবে সিরিজটি।

হইচইয়ে মুক্তি পাবে বোহেমিয়ান ঘোড়া
একজন প্রেমিক মানুষ ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস । সাত জেলায় সাতটি বিয়ে করেছে আব্বাস । সাত বউকে একে অপরের থেকে গোপন রেখে সুনিপুণভাবে সাত সংসার সামলায় আব্বাস । আট নম্বর বিয়ের পর আব্বাসের জীবনে শুরু হয় নানা ঝামেলা। এমন গল্পে অমিতাভ রেজা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’।

বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আব্বাস চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। তাঁর আট বউয়ের চরিত্রে আছেন তানজিকা আমিন, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, সাদিয়া আয়মান, রোবেনা রেজা জুঁই, ফারহানা হামিদ, অদিতি ও বৃষ্টি। ৫ জুন হইচইয়ে মুক্তি পাবে বোহেমিয়ান ঘোড়া।

দীপ্ত প্লেতে হাইড এন সিক
ফিল্মস্টার ইমতিয়াজ খানের বিয়ের ঘোষণার রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয় রাশা নামের এক তরুণী। কেউ কেউ ধারণা করছে ইমতিয়াজের সঙ্গে রাশার ছিল গোপন সম্পর্ক। তাই রাশা আত্মহত্যা করতে চেয়েছে। বিনোদন সাংবাদিক নাদিয়া এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে ঘটে বিপত্তি। নাদিয়া বুঝতে পারে, এর পেছনে বড় কোনো সত্য লুকিয়ে আছে। এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম হাইড এন সিক।


মাহমুদুর রহমান হিমির পরিচালনায় ওয়েব ফিল্ম হাইড এন সিক এ অভিনয় করেছেন : তানজিন তিশা, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, চমক, জিয়াউল রোশান, ইন্তেখাব দিনার ও দীপা খন্দকার সহ একঝাক তারকা শিল্পী।

 

চরকিতে রোজার ঈদের ৪ সিনেমা

এই ঈদে নতুন ওয়েব ফিল্ম কিংবা সিরিজ মুক্তি দিচ্ছে না ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। এবার এই প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রিমিয়ার হচ্ছে গত রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া আলোচিত চার সিনেমা বরবাদ’, দাগি’, জংলি’ ও চক্কর ৩০২’।


মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত বরবাদে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত প্রমুখ।
জংলি বানিয়েছেন এম রাহিম। অভিনয়ে : সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি সহ একঝাক তারকা শিল্পী।

দাগিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন।
চক্কর বানিয়েছেন সরকারি অনুদানে শরাফ আহমেদ জীবন। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তারিন জাহান, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।

 

বঙ্গতে ব্যাচেলর পয়েন্ট
এই ঈদে শুরু হচ্ছে ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকটির পঞ্চম সিজন। এবার টেলিভিশন, ইউটিউবের পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে দেখা যাবে ব্যাচেলর পয়েন্ট। আড়াই বছর পর ফিরছে ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’।


ঈদের দিন বঙ্গতে একসঙ্গে মুক্তি পাবে ব্যাচেলর পয়েন্টর ৮টি পর্ব। এর পর থেকে প্রতি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার ৮টি করে পর্ব মুক্তি পাবে। কাজল আরেফিন অমির পরিচালনায় ব্যাচেলর পয়েন্টে অভিনয় করেছেন : মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলম, মনিরা মিঠু, আব্দুল্লাহ রানা সহ একঝাক তারকা শিল্পী।

ঈদে টেলিভিশন গুলোতে ধারাবাহিক নাটক

ঈদ উপলক্ষে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম : কে এগিয়ে আইস্ক্রিন, হৈচৈ, দীপ্ত প্লে, চরকি না বঙ্গ  !!

ঈদের দিন থেকে সাতদিনব্যাপি টেলিভিশনগুলোতে ধারাবাহিক নাটক প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা কিছু ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য এইখানে . .

চ্যানেল আই

ছোটকাকু রহস্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে । ফরিদুর রেজা সাগরের ছোটকাকু উপন্যাস অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন আফজাল হোসেন, পরিচালনায় অনিমেষ আইচ। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, আশনা হাবিব ভাবনা, অর্ষা, সীমান্ত প্রমুখ।

বাংলাভিশন

কুস্তি বয়েজ দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে । রচনা ও পরিচালনা মাইদুল রাকিব। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষী আলম, হাসান মাসুদ প্রমুখ।

চার কুতুব রিটার্নস দেখা যাবে প্রতিদিন রাত ৮টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা সাগর জাহান। অভিনয়ে চাষী আলম, পাভেল, আ খ ম হাসান, মুসাফির বাচ্চু, শানীনা নাজমীন, মাইমুনা মম প্রমুখ।বাংলাভিশনের ‘কুস্তি বয়েজ’ ধারাবাহিকের পোস্টার।

বৈশাখী

জার্নি টু লন্ডন দেখবেন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। চিত্রনাট্য ইউসুফ আলী খোকন, পরিচালনা আল হাজেন। অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত, অহনা, শফিউল আলম বাবু, শফিক খান দিলু, আমিন আজাদ প্রমুখ।

উভয় সংকট (প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিট): রচনা জাকির হোসেন উজ্জল, পরিচালনায় ফরিদুল হাসান। অভিনয়ে মীর সাব্বির, মৌসুমী হামিদ, ফারুক আহমেদ, রেশমা আহমেদ প্রমুখ।

এনটিভি

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট): রচনা ও পরিচালনা মোহন আহমেদ। অভিনয়ে পাভেল, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া প্রমুখ।

আরটিভি

মুশকিল আসান কোম্পানি (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা মশিউর রহমান, পরিচালনা সহিদ উন নবী। অভিনয়ে শামীম হাসান সরকার, চাষী আলম, অনিক, আনিকা কবীর শখ প্রমুখ।

কনটেন্ট অব দ্য ইয়ার (প্রতিদিন রাত ১১টা): রচনা পাপ্পু রাজ, পরিচালনা মেহেদী রনি। অভিনয়ে যাহের আলভী, মুসাফির সৈয়দ, তানজিম হাসান অনিক, তিথি প্রমুখ।

দীপ্ত টিভি

ওই পাড়া থেকে সাবধান (প্রতিদিন রাত ৯টা ৪০ মিনিট): পরিচালনা শামীম জামান। অভিনয়ে শামীম জামান, ইশানা, আ খ ম হাসান, আল মনসুর, চিত্রলেখা গুহ, আহসানুল হক মিনু, স্বাগতা, প্রাণ রায় প্রমুখ।

মাছরাঙা

থ্রি ইডিয়টস (প্রতিদিন রাত ৯টা ১০ মিনিট): রচনা অনামিকা মণ্ডল, ইমরান হাওলাদার। অভিনয়ে মারজুক রাসেল, চাষি আলম, সালহা নাদিয়া প্রমুখ।

শ্বশুরের বিয়ে (প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট): রচনা আল আমিন স্বপন, পরিচালনা তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে শরাফ আহমেদ জীবন, নাদিয়া মীম, আশরাফ সুপ্ত, মিহি আহসান প্রমুখ।

তারেক রহমান দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন

ঈদ উপলক্ষে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম : কে এগিয়ে আইস্ক্রিন, হৈচৈ, দীপ্ত প্লে, চরকি না বঙ্গ  !!

 

বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমান বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ’ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা। বিশ্ববাসী মানুষের পবিত্র ইচ্ছা হচ্ছ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি দেয়। আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর আত্মত্যাগের সুমহান বার্তা নিয়ে প্রতি বছরই ঘুরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা।

 

তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচার ও নানামুখী সংকটের অভিঘাত সত্বেও দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মন ঈদের অমলিন আনন্দ আর উ”ছ্বাসে পরিপূর্ণ। দেশের জনগণ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদের এক কঠিন সময় পার করেছে। গত বছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী চক্রের পতনের পর দেশে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে এবার মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ফ্যাসিবাদী আমলে তাবেদার অপশক্তির অবৈধ ক্ষমতা লোভের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজে নীতি, নৈতিকতা, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটে। এখন সকলে মিলে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত নৈতিকতা ও পাহাড়সম বৈষম্য দূরীভূত করতে জনগণের ই”ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে সর্বত্র। যেন বেপরোয়া লুটপাট, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি না হয়।

তিনি বলেন, ত্যাগের উৎসব হলো ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার উৎসবের একটি অঙ্গ হ”েছ কুরবানী। পশু কুরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। ধৈর্য ও বিশ্বাসের পরীক্ষার ঐতিহ্যের ধারা বেয়েই কোরবানি মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য করা হয়েছে। ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনা সমাজে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। কোরবানির যে মূল শিক্ষা তা আমরা যদি নিজ জীবনে প্রতিফলিত করে মানব কল্যাণে ব্রতী হই তাহলে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবো। বিশ্বাসীদের সে চেষ্টায় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। উৎসব হলো সর্বজনীন, এর প্রাঙ্গণে সমবেত হয় সব মানুষ। উৎসব মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে শুভে”ছাবোধে উদ্বুদ্ধ করে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতির তীব্রতা, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকটে জনজীবন সীমাহীন দুর্দশায় নিপতিত। স্বল্প আয়ের মানুষরা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় দিনযাপন করছে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে-সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের উৎসব ভাগ করে নিতে হবে এক কাতারে সবাইকে ।

 

জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমে যে কোন দিন

ঈদ উপলক্ষে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম : কে এগিয়ে আইস্ক্রিন, হৈচৈ, দীপ্ত প্লে, চরকি না বঙ্গ  !!

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

 

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।

 

এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।

তিনি বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা কিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব।

 

তিনি আরও বলেন, এতে আমাদের ওপর আপনাদের অর্পিত ম্যান্ডেট ন্যূনতম হলেও বাস্তবায়ন করে যেতে পারব। সে বিবেচনায় ও ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।

 

তিনি বলেন, আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরণীয় থাকুক।

×