স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে প্রযোজকদের বৈঠক : টিকিট বিক্রির অর্থের পুনর্বণ্টনের সমঝোতা

সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা হল থেকে প্রেক্ষাগৃহ টিকিট বিক্রির সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছিলো না । এর পরিপ্রেক্ষিতে টিকিট বিক্রির অর্থের পুনর্বণ্টনের দাবি জানিয়ে তিনটি প্রস্তাব দিয়ে প্রযোজকদের পক্ষে আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের এমডি শাহরিয়ার শাকিল স্টার সিনেপ্লেক্সকে চিঠি দেন । বৈঠক শেষে গতকাল স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে সমঝোতায় পৌচেছেন প্রযোজকেরা। আশা করছেন, এখন থেকে সিনেমা প্রদর্শনীর ন্যায্য অংশ তারা পাবেন।
শাহরিয়ার শাকিল এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রযোজকেরা টিকিট বিক্রির যে অংশ পাচ্ছিলো তা প্রকৃতার্থে সন্তোষজনক ছিল না। আমরা তিন-চার দিন ধরে স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে প্রায় ২০ জন প্রযোজক আলোচনা করেছি। গতকাল (২৩ মে) বৈঠকে আমরা একটি ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যেটা খুব জরুরি ছিল। সিনেমা, হল রক্ষণাবেক্ষণ, এসিসহ নানা বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের যে রেশিও ছিল, তার সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রযোজক ও প্রদর্শক একে অপরের পরিপূরক।

শাহরিয়ার শাকিলকে টিকিট বিক্রি থেকে কী পরিমাণ অর্থ ভাগাভাগি করা হবে তা জানতে চাওয়া হলে , তা খোলাসা করেননি তিনি । তিনি বলেন, এই টুকু বলতে পারি, নতুন একটি বিজনেস মডেল তৈরি হয়েছে। টিকিট বিক্রি কতটা স্বচ্ছ ও আধুনিক করা সম্ভব ও পালন করা যায়, তা কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, যা উভয় পক্ষের জন্য ইতিবাচক। এমনকি হল মেইনটেন্যান্স চার্জ বা এসি চার্জ, সরকারি ট্যাক্সসহ অন্য সব খরচ এখন থেকে হল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। যা আগে টিকিটের নেট মূল্যের ওপর শেয়ার মানি নির্ধারণ করত স্টার সিনেপ্লেক্স।
শাহরিয়ার শাকিলেন কাছে আরো জানতে চাওয়া হয় , অন্যান্য সিনেপ্লেক্সে ও হল গুলোর সাথে আলোচনা হয়েছে কি না । শাকিল বলেন, ‘আমাদের মূল ইস্যু ছিল স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে। অন্য সিনেপ্লেক্সে ও হল গুলোর সাথে এখনো কথা হয়নি। যেখানে মনে হবে আলোচনা করে সমাধানের সুযোগ রয়েছে , দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে সমাধান করব। হাতেতো একটি মডেল রইলোই।
অপরদিকে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন থেকে স্টার সিনেপ্লেক্স একজন প্রযোজককে কাউন্টার সেলের ওপর প্রথম সপ্তাহে ৩১ শতাংশ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে ২৭ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহ থেকে যত দিন সিনেমাটি চলবে, তত দিন ২৫ শতাংশ করে শেয়ার মানি দেবে।