বাংলা ভাষায় প্রকাশিত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এর বই ‘সি চিন পিং : দেশ প্রশাসন’

বাংলা ভাষায় প্রকাশিত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এর বই ‘সি চিন পিং : দেশ প্রশাসন’ এর এক বর্নাঢ্য প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হলো রবিবার (১১মে ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রকাশনা উৎসবের যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকার চীনা দূতাবাস ও চীনা ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ প্রেস।
উক্ত প্রকাশনা উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট দু ঝান ওয়ান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এই আয়েজনে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং এই বই মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্প্রদায় গড়ে তোলার ধারণা এবং সেই সঙ্গে আধুনিকীকরণের দিকে চীনের পথ ব্যাখ্যা করেছেন। এ ধারণাগুলো অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত ও পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী।
চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘সি চিন পিং: দেশ প্রশাসন’ বইটি ৪২ ভাষায় অনুদিত হয়েছে। বাংলাদেশি পাঠকরা বইটি পড়লে চীন সম্পর্কে আরো জানতে পারবে। বর্তমান বাস্তবতায় সমাজতন্ত্র বিষয়ে সি’র চিন্তা দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে চায়না প্রশাসনের গাইডিং নীতিমালাও জানা যাবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘চীনা প্রেসিডেন্টের বইয়ের বাংলা প্রকাশনা আমাদের জন্য একটি বড় উপহার। বইটি পড়লে সি’র রাজনৈতিক দর্শন ও চ্যলেঞ্জ জানা যাবে। এটা শুধু অ্যাকাডেমিক নয়, চীনের ফরেন পলিসিও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। তিনি জানান, ঢাকায় চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও ঢাকায় চীনা অপেরা প্রদর্শনীর জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘চীনা-বাংলাদেশি পাঠক ফোরামের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের সংস্কারেরকালিন এই সময়ে চীনা প্রেসিডেন্টের এই বইটি আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন আইনের শাসন, সামাজিক ন্যয়বিচার, প্রতিবেশী দেশে কূটনীতি, দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি। এ বইটিতে প্রেসিডেন্ট সি’ সেই কথাই বলেছেন।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনায় অংশ নেন ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের ডিরেক্টর জেনারেল লি সুয়ান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের ডিরেক্টর শামসাদ মর্তুজা।